স্টেভিয়ার গুনাগুন :

• স্টেভিয়াতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের খনিজ ও ভিটামিন যেমন: ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, বেটা-ক্যারোটিন, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রণ, ফাইবার, ভিটামিন-সি, ভিটামিন-বি১, রিবোফ্লাভিন ইত্যাদি।
• স্টেভিয়া জিরো ক্যালোরি প্রাকৃতিক মিষ্টি, এই মিষ্টি ডায়বেটিস রোগী সেবন করলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা পরিবর্তন করে না। ফলে ডায়বেটিস রোগীর মিষ্টির চাহিদা পুরন করবে।
• স্টেভিয়ার পাতা চিনি অপেক্ষা ৩০-৪০ গুন এবং পাতার স্টেভিওসাইড চিনি অপেক্ষা ৩০০ গুন বেশি মিষ্টি।
• অগ্নাশয় থেকে ইনসুলিন নিঃসরণে সহায়তা করে।
• উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে, হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক প্রতিরোধ করে।
• এন্টিঅক্সিডেন্ট গুনাগুন সম্পন্ন হওয়ায় ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
• শরীরের বাড়তি ওজন তথা স্থুলতা কমাতে সহায়তা করে।
• খাদ্য হজমে সহায়তা করে।
• ত্বকের ক্ষত নিরাময় ও দাঁতের ক্ষয় রোধ করে।
• স্কিন কেয়ার হিসেবে কাজ করে বিধায় ত্বকের কোমলতা এবং লাবণ্যতা বৃদ্ধি করে।
• মানুষের দেহে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে না।
• এছাড়া এর মধ্যে রয়েছে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস বিনষ্টকারী প্রাকৃতিক রাসায়নিক উপাদান।

ব্যবহার বিধি :

• স্টেভিয়া পাউডার এক কাপ চা বা কফির সাথে টেবিল চামচের মাথায় সামান্য পরিমান (চামচের চার ভাগের একভাগ) মিশিয়ে খেতে পারেন।
• এক গ্লাস পরিষ্কার পানিতে টেবিল চামচের মাথায় সামান্য পরিমান (চামচের তিন ভাগের একভাগ) পাউডার নিয়ে ৫-৭ মিনিট ফুটিয়ে খেতে পারেন।
• এছাড়া পরিমান মত ব্যবহার করে ঘরের সকল রান্নায় ও মিষ্টিজাতীয় খাবার যেমন সেমাই, সুজি, ক্ষীর, মিষ্টান্ন, আচার, জুস প্রভৃতি প্রস্তুত করতে স্টেভিয়া পাউডার ব্যবহার করতে পারেন।

কেন চিনির পরিবর্তে স্টেভিয়া খাওয়া উচিত :

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে ( WHO)-এর মতে চিনির ব্যবহার প্রতিদিনের ক্যালোরি চাহিদার মাত্র ৫ শতাংশ হওয়া উচিত। কিন্তু চিনিতে ক্যালোরির পরিমাণ অনেক বেশি, যে কারণে স্টেভিয়ার ব্যবহার এখন বেশি । যেহেতু স্টেভিয়া প্রাকৃতিক মিষ্টি তাই এটি কিন্তু শরীরের জন্যেও নিরাপদ। ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে (আরও পড়ুন ব্লগ পোষ্টে)